যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ইরাক ছাড়ার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ২৩, ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ইরাক ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় জরুরি সেবার সাথে জড়িত কর্মী ছাড়া সব কূটনীতিককে ইরাক থেকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সাথে নাগরিকরা যেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা না করেন, সে বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্য ঘিরেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই ‘একাধিক গোষ্ঠী ইরাকে মার্কিন নাগরিকদের ওপর আক্রমণের’ চেষ্টা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সম্প্রতি জানান, ইসরায়েল-গাজা সংঘাতকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে ইরান। 

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহকে ইরান সমর্থন করছে বলেও দাবি করেছে ওয়াশিংটন। হিজবুল্লাহ হামাসের সমর্থনে লড়াইয়ে অংশ নিয়ে ইসরায়েলের সাথেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। ইরানের মদদেই এ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কিংবা নাগরিকদের ওপর আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। 

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো গোষ্ঠী বা কোনো দেশ এই সংঘাতকে আরও প্রসারিত করতে চায় এবং এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চায়, তাদের জন্য আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, এমনটি করবেন না।’

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল ও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতে অন্তত ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সামরিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবানন সীমান্তে সংঘাতে ইসরায়েলে অন্তত পাঁচজন ইসরায়েলি সেনা ও একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ‘ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে। তাদের চেষ্টা যাতে বিফল হয়, তার সমস্ত ব্যবস্থা আমরা করছি।’ 

তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করার সমস্ত দায়িত্ব সরকার পালন করবে। এবং সে কারণেই ওই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরই ওই অঞ্চলে বড়সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমান বহনকারী দুটি যুদ্ধজাহাজ ওই অঞ্চলের সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। 

পেন্টাগন জানিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় ২ হাজার মেরিন ফোর্সও মজুত করা হয়েছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে সরাসরি যুক্ত না হলেও ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Link copied!