দীর্ঘদিনের বিরোধ পাশ কাটিয়ে বন্দী বিনিময় করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলা। ১০ জন মার্কিন বন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে কারাকাস। বিপরীতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে মুক্তি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুই দেশ একে অপরের বন্দীদের মুক্তি দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক নেতা মাদুরোর একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যালেক্স সাব। তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, অ্যালেক্সকে মুক্তি দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য বেশ কঠিন ছিল।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা যে ১০ মার্কিন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে লিওনার্দ ফ্রান্সিস রয়েছেন। মার্কিন নৌবাহিনীর দুর্নীতিতে তাঁর নাম রয়েছে। এদিন ভেনেজুয়েলা আরও ২০ জন রাজনৈতিক বন্দীকেও কারামুক্ত করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার বামপন্থী সরকারের ওপর চাপ কমানোর কৌশল বেছে নিয়েছে ওয়াশিংটন। মূলত মাদুরো সরকার গণতান্ত্রিক কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করায় মার্কিন প্রশাসন অনেকটাই নমনীয় আচরণ করছে। এমনকি দীর্ঘদিনের জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা গত অক্টোবরে শিথিল করতে সম্মত হয় ওয়াশিংটন।
চলতি বছরের শুরুতে ইরানের সাথে বন্দী বিনিময় করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এখন ভেনেজুয়েলার সাথে বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাইডেন বলেন, ‘বেআইনিভাবে যেসব মার্কিন আটক রয়েছে, আমরা তাদের মুক্ত করছি। সেই সাথে আমরা ভেনেজুয়েলার সাথে একটি চুক্তি করেছি। ভেনেজুয়েলা অবাধ নির্বাচন আয়োজন করবে।’