ডিসেম্বর ১, ২০২১, ০৯:৪৭ এএম
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে নারী কর্মচারীদের এক-তৃতীয়াংশই কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। দেশটির পার্লামেন্টে যৌন বৈষম্য সংক্রান্ত একটি কমিশনের ‘সেট দ্য স্ট্যান্ডার্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) পার্লামেন্টে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে এ সংক্রান্ত তথ্য উঠে এসেঠে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে দেশটির এক মন্ত্রীর দপ্তরের ব্রিটানি হিগিন্স নামে সাবেক কর্মচারী অভিযোগ করেছিলেন, তারই একজন সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেছেন। ওই অভিযোগের পর যৌন বৈষম্য সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল বিষয়টি তদন্তের জন্য। এছাড়া ওই ঘটনার পর রাজধানী ক্যানবেরায় এ ধরনের বহু অসদাচরণের অভিযোগ উঠতে থাকে।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত ওই কমিশনই তদন্ত করে এই প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই কমিশনের কমিশনার করা হয়েছিল কেট জেংকিন্স নামের এক ব্যক্তিকে। প্রতিবেদনটি তিনিই তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ১,৭২৩ জন ব্যক্তি ও ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের ৫১ শতাংশেরই কোন না কোন ধরনের নিগ্রহ, যৌন হয়রানি এবং যৌন আক্রমণ বা আক্রমণের চেষ্টার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নারী পার্লামেন্ট সদস্যদের ৬৩ শতাংশই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর নারী রাজনৈতিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এর অনুপাত আরও বেশি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই প্রতিবেদনে উদঘাটিত তথ্যকে ‘চরম দুঃখজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, নারী সংক্রান্ত এসব ইস্যুর ব্যাপারে মরিসন ‘বধির’ হয়ে থাকেন।