পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি করা জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আবেদন খারিজ হওয়ায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি করা জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রয়েছে। ফলে যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তিনি।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন‘র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের আবেদন খারিজ করে দেন। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালত তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার পরোয়ানা বাতিল চেয়ে পিটিআই প্রধানের দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানির পর তা বাতিল করে আগের রায় বহাল রাখেন অতিরিক্ত দায়রা জজ জাফর ইকবাল।
এর আগে, তোশাখানা মামলার (প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ায় মামলা) শুনানিতে ক্রমাগত অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়।
দেশের প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্যান্য শীর্ষ মন্ত্রীরা দেশ-বিদেশ থেকে যে উপহার পেয়ে থাকেন তা জমা থাকে সরকারি কোষাগার তোসাখানায়। সেখান সেখান থেকে গ্রাফ কোম্পানির একটি দামী ঘড়ি ইমরান কিনেছিলেন কম দামে। তারপর সেই ঘড়িটি তিনি বিক্রি করে দেন। একারণে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমরান গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। তার পর থেকে এই মামলার একাধিক শুনানিতেও গরহাজির থেকেছেন ৭০ বছর বয়সি পিটিআই নেতা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এই পরোয়ানা নিয়ে গতকাল রবিবার ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে তার লাহোরের জামান পার্কের বাসায় যায়। তবে পিটিআই প্রধানকে গ্রেফতার না করে খালি হাতে ফিরে আসে পুলিশ। বলা হচ্ছে, গ্রেফতার এড়াতে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন ইমরান খান।
পরবর্তীতে ইমরান খান ইসলামাবাদের দায়রা আদালতে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, যদি তার অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে তিনি এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য একটি ন্যায্য সুযোগ পাবেন।