তেল আবিবের উপকণ্ঠে বন্ধুকধারীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েল আরব সন্ত্রাসবাদের মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির জনবহুল আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চল বেনি ব্র্যাকে এক অস্ত্রধারীর গুলিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে একজন প্যারামেডিকের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওই বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের নাগরিক বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় কালো পোশাক পরা বন্দুকধারী তার অস্ত্র তুলে একটি গাড়ির জানালা দিয়ে যাত্রীর ওপর গুলি চালায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, মৃতদের মধ্যে গাড়ির ভেতরে একজনকে এবং অন্যদের আশেপাশের রাস্তায় পাওয়া গেছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি বন্দুক হামলার ঘটনায় সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জরুরি নিরাপত্তা সভা করেছেন। বৈঠকে আইনশঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আজ বুধবার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ও নিরাপত্তা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন বেনেট।
মঙ্গলবারের জরুরি সভা শেষে ইসলায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী আরব সন্ত্রাসবাদের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। আমরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে লড়াই চালিয়ে যাব।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার ও রবিবার ইসরায়েলি আরবদের হামলায় ছয়জন নিহত হয়। গত ২২ মার্চ ছুরিকাঘাতে এবং গাড়ির ধাক্কায় চার ইসরায়েলিকে হত্যা করে একজন ইসরায়েলি আরব।
তিনি একবার ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীকে সমর্থন করার জন্য কারাবন্দি হয়েছিলেন। এছাড়া গত ২৭ মার্চ দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাদেরায় ইসরায়েলে বন্ধুকধারীর হামলায় দুই পুলিশ নিহত হয়েছে।