রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা ‘সক্রিয়ভাবে’ আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে। তিনি আরও বলেছেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সহজ নয়।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ অক্টোবর)দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
পুতিন সতর্ক করে বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এমনকি তারা সরাসরি হামলাও চালাতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলোয় শরণার্থী হিসেবে ঢুকতে পারে।
তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই অস্থিতিশীলতা চলছে মধ্য এশিয়ায়। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন রাশিয়া। কারণ, এ অঞ্চলের একাধিক দেশে তাদের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
তালেবানের কাবুল দখলের পর থেকেই তাজিকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে রুশ সেনারা। দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তাদের সামরিক ঘাঁটি আছে উজবেকিস্তানেও। তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান—দুই দেশেরই আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।
পুতিনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন তাজিকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান সাইমুমিন ইয়াতিমভ। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে তাঁর দেশে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালানের জোর প্রচেষ্টা চালানোর খবর পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের আফিম ও হেরোইন উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তান। এসব মাদক ব্যবসার মুনাফার ভাগ পায় তালেবানও।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে নিযুক্ত ক্রেমলিনের দূত জমির কাবুলভ বলেছেন, মস্কোতে আফগানিস্তান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আলোচনায় তালেবানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। চলতি মাসের ২০ তারিখ ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।