সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ০৮:১৯ পিএম
একেই বলে ভাগ্য! ঘাতকের পিস্তল উঠেছিল লক্ষ্য বরাবর। ট্রিগারও চেপেছিলেন তিনি। কিন্তু গুলি বোরোল না একটিও! এতে করে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনি। এই তিনি হলেন আর্জেন্টিনার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনার।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই হামলার সময় ক্রিস্টিনাকে ঘিরে তাঁর সমর্থকরা জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এমন সময় গুলিসহ একটি বন্দুক নিয়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। গুলি না বের হওয়ায় বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেননি ক্রিস্টিনা। তবে তাঁর সমর্থকেরা পরক্ষণেই ভিড়ের মধ্য থেকে ধরে ফেলেন অস্ত্রধারীকে।
বিবিসি জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন ক্রিস্টিনা। তবে ওই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন বরাবরই। পুলিশ বলছে, হামলাকারী একজন ব্রাজিলীয়, বয়স ৩৫। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কী কারণে তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চেয়েছেন তা এখনও বুঝা যাচ্ছে না।
২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে চার বছর তিনি আর্জেন্টিনার ফার্স্ট লেডি ছিলেন।
হামলার ঘটনাটির পরই জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ওই হত্যাচেষ্টার কড়া নিন্দা জানান প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। সেখানে তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রটিতে ৫টি গুলি ছিল। কিন্তু সেটা জ্যাম হয়ে যাওয়ায় গুলি বের হয়নি। এই ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজ।
ফার্নান্দেজ বলেন, ১৯৮৩ থেকে গণতন্ত্রের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। সেই পথে বাধা তৈরি করতেই এসব করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে এক হতে হবে। কোনও অবস্থাতেই গণতন্ত্রের ধ্বংসকারীদের চক্রান্তকে সফল হতে দেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুলাই মাসে ভোটের প্রচার চালানোর সময় গুলিতে নিহত হন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রভাবশালী নেতা শিনজো আবে। দেশের নারা শহরে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই তাঁকে গুলি করা হয়। সেই ঘটনায় আততায়ীকে গ্রেফতার করে জাপান। এর এক মাসের মাথায় তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছিল আর্জেন্টিনাও।
সূত্র: বিবিসি