তাইওয়ান নিয়ে নয়া শ্বেতপত্র চীনের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২২, ০৬:৩২ পিএম

তাইওয়ান নিয়ে নয়া শ্বেতপত্র চীনের

সমুদ্র ও আকাশপথে তাইওয়ানকে ঘিরে ধরে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা ‘অভূতপূর্ব’ ও ‘নজিরবিহীন’ সামরিক মহড়া আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ করার কথা ঘোষণা করল চীন। তবে সেই সঙ্গে শি জিনপিংয়ের সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল, তাইওয়ান ভূখণ্ডে কোনও ধরনের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম’ তারা মেনে নেবে না। এবং প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে গোটা ভূখণ্ড দখল করবে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার তাইওয়ান নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০০০ সালের পরে এই প্রথম স্বশাসিত এই ভূখণ্ড নিয়ে কোনও শ্বেতপত্র প্রকাশ করল চিনের সরকার। যেখানে তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রয়োজনে তাইওয়ান অধিগ্রহণ করার পরে সেখানে সামরিক বাহিনী পাঠাবে তারা।

এর আগে শ্বেতপত্রে চিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, হংকংয়ের মতো তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ মেনে চলবে তারা। অর্থাৎ কোনও দিন চিনের সঙ্গে তাইওয়ানকে জোড়া হলেও সেখানে স্বশাসিত সরকার থাকবে। এবং চীনের কোনও সামরিক বাহিনী তাওইয়ান ভূখণ্ডে ঢুকবে না। কিন্তু আমেরিকান হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই সেই সমীকরণ পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে।

আজ স্পষ্টভাবেই ওই শ্বেতপত্রের মাধ্যমে বেইজিং জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে পুনর্মিলনে বিশ্বাসী। তবে তাইওয়ানের ভিতরে তৃতীয় পক্ষের কোনও ধরনের উস্কানি বা বিচ্ছিন্নতবাদী আচরণ তারা বরদাস্ত করবে না। তবে চিনের সরকার সেই সঙ্গেই বলেছে, ‘‘প্ররোচনায় আমরা বলপ্রয়োগ পুরোপুরি ত্যাগ করতে পারব না। এবং সব রকম ভাবে প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি থাকব।’’

বেইজিংয়ের আরও বক্তব্য, নিজেদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে সব রকম প্রস্তুতি তারা সেরে রাখছে।

Link copied!