চীনের ‘হুমকি’ উপেক্ষা করেই তাইওয়ানে পৌঁছলেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে বৃত্তাকার পথে উড়ে যাওয়ার পর মার্কিন সরকারের বিমানটি তাইপে'র সং শান বিমানবন্দরে নেমে আসে। পেলোসি অবস্থান করছেন তাইপের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে। তাঁর সফরের বিরোধিতা করে হোটেলের বাইরে চীনপন্থী লোকজন বিক্ষোভ করছেন। তাদের হাতে ধরা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘যুদ্ধ উস্কানিদাতা বাড়ি ফিরে যাও’।
এর আগে পেলোসিকে বহনকারী মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিমানে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে কুয়ালামপুরের সুবাং বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
ন্যান্সি পেলোসিকে চীনের একজন কড়া সমালোচক বলে মনে করে থাকে বেইজিং। পেলোসি তাইওয়ান সফর করার মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালের পর ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্পিকার তাইওয়ান সফর করলেন।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদেন বলা হয়, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল বরাবর উত্তরে যাওয়ার আগে বিমানটি বোর্নিও এবং ফিলিপিন্স অতিক্রম করে তাইপে পৌঁছায়।
তাইওয়ানে অবতরণের পর পরই টুইটারে এক পোস্টে ন্যান্সি পেলসি লিখেছেন, তার প্রতিনিধিদলের সফর "তাইওয়ানের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য আমেরিকার অটুট প্রতিশ্রুতিকে সম্মানিত করেছে।"
তিনি বলেন, "তাইওয়ানের দু'কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের সাথে আমেরিকার সংহতি আজ আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ" এবং তার সফর "কোনো ভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নীতির বিরোধিতা করে না।"
ঐ অঞ্চলে "স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য (চীনের) একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধিতা যুক্তরাষ্ট্র করে চলেছে," টুইটে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, পেলেসি তাইওয়ান সফর করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি প্রচার করেছে যাতে বলা হয়েছে, এই সফর চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, এবং এটি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখন্ডতার গুরুতর লংঘন।