চার মাসেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও এখনও ইউক্রেনকে পুরোপুরি কব্জা করতে পারেনি রুশ সৈন্যদল। এই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের পথে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।
ইউক্রেনের শেষ বড় দুর্গ বলে পরিচিত লিসিচানস্ক দখলের পথে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক উপদেষ্টা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, খুব শিঘ্রই এই শহরটিরও পতন ঘটতে পারে। গত মাসেই সেভারস্কি ডোনেৎস নদীর উল্টো দিকে অবস্থিত সেভেরোদোনেৎস্ক দখল করেছে রুশ বাহিনী।
রুশ সেনা ও মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের নজর এখন লুহানস্ক প্রদেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে থাকা শেষ বড় শহর লিসিচানস্কে। যোদ্ধাদের ইতোমধ্যেই এই শহরের ভেতরে পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, লিসিচানস্ক শহরটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুতিনের সেনা। কিন্তু, এখনও দখল করতে পারেনি। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, লিসিচানস্কের রাস্তায় টহল দিচ্ছে লুহানস্কের সামরিক বাহিনী। যদিও ইউক্রেনের জাতীয় রক্ষীর মুখপাত্র রুসলান মুজিচুক সে দেশের সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, শহরটি এখনও তাঁদের দখলেই রয়েছে
অন্য দিকে, জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ জানিয়েছেন, সেভারস্কি ডোনেৎস নদী ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে রুশ বাহিনী। তারা উত্তর দিক থেকে শহরের পথে অগ্রসর হচ্ছে। তাঁর কথায়, দু’এক দিনের মধ্যেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য পশ্চিমী দেশগুলির কাছে অস্ত্র চেয়েছে কিয়েভ। জেলেনস্কির উপদেষ্টার মতে, পশ্চিমী দেশগুলি থেকে আরও অস্ত্র এলে যুদ্ধক্ষেত্রের ছবিটা পাল্টে যাবে। ইউক্রেনেরেই লাভ হবে সে ক্ষেত্রে।