প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। রবিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাবটি দেশটির সংবিধানের পঞ্চম অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি তা খারিজ করে দেন।
এর পরেই জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন ইমরান খান। তার কিছক্ষণ পরেই আইনসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এই পরিস্থিতিতে আগামী তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
ভাষণে সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেন, “ইতোমধ্যে আমি রাষ্ট্রপতির কাছে বার্তা পাঠিয়েছি যে, অ্যাসেম্বলি (জাতীয় সংসদ) ভেঙে দিন। আমরা একটি গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি। জনগণ যার পক্ষে রায় দেবে তাকেই সবাই মেনে নেবে। বিদেশী কারো উসকানিতে নয়।”
পাকিস্তানের বিরোধীদলের নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিদেশ থেকে পাঠানো একটি ষড়যন্ত্র আজ ডেপুটি স্পিকার খারিজ করে দিয়েছেন। এ জন্য আমি সবাইকে মোবারকবাদ জানাই। গোটা জাতি আজ পেরেশান ছিল, কি গাদ্দারি হয়। আমি সবাইকে বলে দিতে চাই এমন ষড়যন্ত্র জাতি মেনে নেবেনা। আমরা আইনি শক্তি ব্যবহার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করেছি।”
পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন’র বলা হয়, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পরই রাষ্ট্রপতি ডা. আরিফ আলভি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবনা পেয়েছেন, যা তিনি অনুমোদন করেন, ফলে জাতীয় পরিষদ এখন সাংবিধানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।