প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য পুতিনের বিরল অপেক্ষা, ভিডিও ভাইরাল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২১, ২০২২, ০১:১৪ এএম

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য পুতিনের বিরল অপেক্ষা, ভিডিও ভাইরাল

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর এই প্রথম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরান সফর করছেন। সফরে তেহরানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে নানা বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। তবে বৈঠককে ঘিরে একটি ভিডিও এখন ভাইরাল। ৫০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এরদোয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে পুতিনকে। এমন দৃশ্য বিরল পুতিনের জন্য। কারণ, তিনি নিজেই অন্যদের অপেক্ষা করিয়ে থাকেন, এমন অভিযোগ আছে।

জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে এটি প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রথম বৈঠক ছিল। এ নিয়ে তাই গোটা বিশ্বেরই চোখ ছিল ওই বৈঠকের দিকে।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বৈঠককক্ষে নির্ধারিত সময়ে প্রবেশ করেছেন পুতিন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

সেখানে ছিল দুই নেতার বসার জন্য সাজানো চেয়ার। পেছনে দুই দেশের সুসজ্জিত পতাকা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য এ সময় অপেক্ষারত রুশ প্রেসিডেন্ট উসখুস করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই হাত একত্রে রেখে মুখে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। শেষমেশ কক্ষে এরদোয়ান প্রবেশ করলে পুতিন এগিয়ে গিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় এরদোয়ান পুতিনকে বলেন, ‘হ্যালো, কেমন আছেন, ভালো?’ এরপর হাস্যোজ্জ্বল দুই নেতা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠকে বিশ্বনেতাদের অপেক্ষা করানোর জন্য পুতিনের বেশ ‘নামডাক’ আছে। কখনো কখনো কয়েক ঘণ্টাও অপেক্ষা করিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই পুতিনের অপেক্ষা করা নিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ২০২০ সালে মস্কোতে একটি বৈঠকের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে এমনই এক খবরে বলা হয়, ওই সময় এরদোয়ানকে দুই মিনিট অপেক্ষা করিয়েছিলেন পুতিন। তুরস্কের টি-২৪ অনলাইন শিরোনাম করেছে, ‘এটা কি প্রতিশোধ ছিল।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও ক্লিপ বেশ সাড়া ফেলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি সংবাদমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জইসি করিম টুইটারে লিখেছেন, ‘৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে ক্যামেরার সামনে অপেক্ষারত পুতিনকে উসখুস করতে দেখা গেছে। এ দৃশ্যই বলে দেয় ইউক্রেন যুদ্ধের পর পরিস্থিতি কতটা বদলেছে।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর রুশ বাহিনীর হাতে হাজারো ইউক্রেনীয় মারা পড়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে অন্যান্য দেশে গম ও শস্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে; যা বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। মঙ্গলবার এরদোয়ানের সাথে বৈঠকে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ‘অগ্রগতি’ হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি।

Link copied!