পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জোরেশোরে প্রচারে নেমেছে সব দলই। তবে সবচেয়ে জল্পনা বিজেপি-তৃণমূল দ্বৈরথকে কেন্দ্র করে। দেব অধিকারী বা সুপারস্টার দেব মমতা ‘দিদির সৈনিক’ ও মিঠুন চক্রবর্তী তথা মহাগুরু মিঠুন ‘মোদীর তারকা সেনাপতি’ নিজ নিজ দলের প্রচারণায় নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বাংলায় বিজেপি-র হয়ে ভোটের প্রচারের প্রথম দিনে বাঁকুড়ায় ভোট চাইতে নেমেছেন মিঠুন। দেব অবশ্য আগেই প্রচারে নেমেছেন, বৃহস্পতিবার তিনি গেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে মোট চারটি রোড শো করেছেন মিঠুন। প্রথমে বাঁকুড়া, তারপর পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। পাকা দাড়ি, কালো চশমা, মাথায় কালো বান্দানা, পরণে সাদা কুর্তা, গলায় মালা আর গেরুয়া উত্তরীয়। রোড-শো শুরু হতেই উপচে পড়ে ভিড়। যা দেখে অভিভূত মিঠুন বললেন, ‘আমি গর্বিত যে আমি বাঙালি। আমি এসেছি পুরুলিয়ার গরির মানুষের কাছে। তাদের এটা বলতে যে, অধিকার আদায় করে নিতে হয়।’
সম্প্রতি তিনি কলকাতার কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের ভোটার হয়েছেন। এতদিন পর বাংলার ভোটার হওয়া মিঠুনকেও ‘বহিরাগত’ তকমা দিচ্ছে শাসক তৃণমূল। তাচ্ছিল্যভরে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ‘মহাগুরু’ বলেছেন, ‘ আমি যদি বাইরের লোক হই, তা হলে তো মাদার টেরিজা, ভগিনী নিবেদিতাও বাইরের লোক। বাঙালি ওদের মাথায় তুলে নাচে! কারণ, ওরা বাইরের লোক নন। সেটা প্রমাণিত হয়েছে ওদেও কাজে। আসলে বাইরের লোক তারা,যারা বাংলায় থেকে বাংলার গরিব মানুষের কথা ভুলে গিয়েছেন। আমি বাইরের লোক না। নীতির লড়াই লড়ছি। তাই-ই লড়ব।’
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের টিকরাপাড়া হাইস্কুল মাঠে প্রচারে নেমেছিলেন দেব। দুপুরে ছিল রোড শো। এরপর বিকেলের দিকে নন্দীগ্রামেও যাওয়ার কথা রয়েছে দেব-এর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে প্রচার করবেন তিনি। ক’দিন আগে গিয়েছিলেন পুরুলিয়াতে। বৃহস্পতিবার যেমন সেখানে মিঠুনকে দেখতে উপচে পড়েছে ভিড়, সেদিন দেবের জন্যও ঢল নেমেছিল মানুষের। চড়া রোদ মাথায় করেও স্বচক্ষে নায়ককে দেখার ভিড়। গত সোমবার রঘুনাথপুর সাব স্টেশন সংলগ্ন ময়দানের হেলিপ্যাডে নামেন দেব। তার আগে থেকেই সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
হেলিকপ্টার থেকে নেমে রঘুনাথপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউরিকে সঙ্গে নিয়ে হুডখোলা জিপে রঘুনাথপুর শহরে পবায় দুই কিলোমিটার রোড শো করেন ঘাটালের সাংসদ দেব। তার পর যান রেলশহর আদ্রায়।
সূত্র: আনন্দবাজার।