করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে দৈনিক মৃত্যু, শনাক্ত ও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিশ্বে মৃত্যু সংখ্যা ৪১ লাখ ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ২৮ লাখ। বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭ কোটি ৫৩ লাখের বেশি লোক। করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
করোনায় মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা কর্মসূচি চললেও মৃত্যুমিছিল প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৪৭২ জন মারা গেছেন। বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৪১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৯। এই হিসেবে বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৮ হাজার ৬৭৩ জন।
করোনায় আক্রান্ত
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৯৮২ জন। বুধবার (২১ জুলাই) পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হন ১৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৯ জন। এই হিসেবে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।বুধবার (২১ জুলাই) একদিনে করোনায় অঅক্রান্ত হন ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯২২ জন।
করোনা থেকে সুস্থ
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সারা বিশ্বে ১৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার ১৯৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত সুস্থ হন ১৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার ৯০০ জন। এই হিসেবে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২৯৯ জন।
করোনায় সক্রিয় রোগী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) পর্যন্ত সারা বিশ্বে সক্রিয় রোগী রয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ৮২ হাজার ২১৯ জন। বুধবার (২১ জুলাই) পর্যন্ত সক্রিয় রোগী ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ৮১ হাজার ৮৩০ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।