করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত দুইদিন ধরে এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ৫২ লাখ ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ কোটি ২৩ লাখ। বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩ কোটি ৬৮ লাখের বেশি লোক। করোনা সক্রিয় রোগীর কমে ২ কোটি ২ লাখের একটু বেশি।
করোনায় মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৩৩০ জন মারা গেছেন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) এই সংখ্যা ছিল ৫২ লাখ ১৯ হাজার ৬৪। এই হিসেবে মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৫ হাজার ২৬৬ জন মারা গেলেন। সোমবার গত একদিনে ৪ হাজার ১৯৯ জন
করোনায় আক্রান্ত
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৮২ জন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২৬ কোটি ১৯ লাখ ২৯ হাজার ২৯৩। এই হিসেবে মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ১৮৯ জন।
করোনা থেকে সুস্থ ও সক্রিয় রোগী
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭০৩ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনার সক্রিয় রোগী ২ কোটি ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৮৪ হাজার ৩৬৯ জন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭২৫ জন এবং মারা গেছেন ৩১৭ জন। রাশিয়ায় একদিনে মারা গেছেন ১ হাজার ২০৯ জন এবং করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৬০ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৫৮২ জন এবং ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৫৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন।
এছাড়া করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে ৮২ জন, তুরস্কে ১৮৯ জন, ফিলিপাইনে ১৪১ জন, হাঙ্গেরি ৪৬০ জন, রোমানিয়ায় ৯২ জন, মেক্সিকোতে ৩৮ জন এবং ভিয়েতনামে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।