বেইজিংয়ে পরমাণু হামলার কথা ভেবেছিল ওয়াশিংটন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে ২৪, ২০২১, ০৩:১৪ পিএম

বেইজিংয়ে পরমাণু হামলার কথা ভেবেছিল ওয়াশিংটন

চীনের কমিউনিস্ট বাহিনীর সম্ভাব্য দখল অভিযান থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমরবিদরা চীনের মূল ভূখণ্ডে পারমানবিক হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সামরিক বিশ্লেষক ড্যানিয়েল এলসবার্গ পেন্টাগন পেপার্স নামের গোপন নথি বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনকে সহায়তা ও পারমানবিক অস্ত্র দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিশোধ নিতে পারে বলে মার্কিন সমরবিদরা ধারণা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেওয়ায় চীনকে সহায়তা ও পারমানবিক অস্ত্র দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন ওই প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে মার্কিন পরিকল্পনাকারীরা মনে করছিলেন।

সাবেক মার্কিন সামরিক বিশ্লেষক এলিসবার্গ অতিগোপনীয় নথির একটি অংশ সম্প্রতি অনলাইনে পোস্ট করেছেন। ১৯৭৫ সালেও এর কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছিল।

দ্য টাইমসকে এলিসবার্গ বলেন, ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে তাইওয়ান সংকট নিয়ে এসব নথি তিনি কপি করেছিলেন। তাইওয়ান নিয়ে যখন চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন এসব তথ্য আবার ফাঁস করে দিয়েছেন।

 

ওই সময় (১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত) যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ স্টাফ জেনারেল  ছিলেন নাথান টিউনিং। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, তাইওয়ানে চীনের কোনো অভিযান চালানো হলে এর জবাবে দেশটির বিমানঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমানবিক হামলা চালাবে।

তবে ১৯৫৮ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানে গোলাবর্ষণ বন্ধ করলে সংকটের অবসান হয়। তাইওয়ানকে বরাবরেই নিজেদের একটি  প্রদেশ  মনে  করে চীন। ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে যুত্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সাপে-নেউলে সম্পর্ক তৈরি হয়।

এলিসবার্গের ফাঁস করে দেওয়া নথিতে আরও বলা হয়, চীন যদি ওই সময় অভিযান বন্ধ না করতো তাহলে দেশটির সাংহাইয়ের মতো উত্তরাঞ্চলের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু হামলা ছাড়া অন্য কোনো পথ ছিল না। তবে পরমাণু হামলা এড়িয়ে প্রচলিত সমরাস্ত্রের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪তম প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার।

Link copied!