ভাল লাগে মা হতে। তাই গর্ভ ভাড়া দেওয়াকেই নেশা করে ফেলেছেন আটলান্টার এক মা! অবশ্য এর সঙ্গে পেশাও জড়িয়ে রয়েছে। অন্যের সন্তান গর্ভে ধারণ করার বিনিময়ে তিনি নেন ৪০ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা।
২৬ বছর বয়সি ইয়েসিনিয়া লাটোরে এখনও পর্যন্ত তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে দু’টি তাঁর নিজেরই। ইয়েসিনিয়ার বক্তব্য, “যে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবে মা হতে পারেন না, তাঁদের জন্যই আমার এই প্রয়াস। আমি এখনও পর্যন্ত তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছি। তার মধ্যে দু’টি আমার নিজের। আর অন্যটি এক দম্পতির। খুব শীঘ্রই আমি আবার গর্ভ ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।” ওই তরুণী সমাজমাধ্যমে নিজের এই শখের কথা জানাতেই তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
অভিভাবক হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে প্রায় শতাধিক দম্পতি যোগাযোগ করেন ইয়েসিনিয়ার সঙ্গে। ওই তরুণী বলেন, “মানুষ বুঝেছে, সারোগেসি মানেই শুধু অর্থ উপার্জন নয়। অবশ্যই নিজের পরিচর্যার জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তার বেশি কিছু নয়। আমার কাছে পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সব দম্পতিরা সন্তান হচ্ছে না বলে হতাশায় রয়েছেন, সেই সব দম্পতিদের হাতে সন্তান তুলে দিতে পেরে আমি গর্বিত।”
২০১৭ সালে ইয়েসিনিয়া প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। প্রথম বারের অভিজ্ঞতায় তাঁর মা হওয়ার এই যাত্রাপথ এতটাই ভাল লেগেছিল যে, সন্তানের জন্ম দেওয়াই তাঁর শখে পরিণত হয়। ইয়েসিনিয়া বলেন, “অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্ফীতোদর, নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, শরীরের মধ্যে ধীরে ধীরে ভ্রূণের বেড়ে ওঠা এবং তার অস্তিত্ব অনুভব করার যে আনন্দ, সেই সব কিছু আমার ভাল লাগে।” ২০১৮ সালে আবার ইয়েসিনিয়া দ্বিতীয় বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হন। দুর্ভাগ্যবশত সেই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখতে পারেনি। সেই ঘটনাই ইয়েসিনিয়াকে গর্ভ ভাড়া দিতে উৎসাহিত করে। তবে সারোগেসি পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ‘ধারক’ মা ওই শিশুটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারেন না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই তরুণী সেই সব দম্পতিকেই গর্ভ ভাড়া দেন, যাঁরা ভবিষ্যতে জন্ম দেওয়া শিশুটির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে অনুমতি দেবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার