মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভে গুলি চালানোর পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি গিয়েও বিক্ষোভকারীদেও হত্যা করছে। ইতোমধ্যে চলমান জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫২১ জন। জান্তা সরকারের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, তবুও কমছেনা সহিংসতা।
মিয়ানমারের সড়কে সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। সন্দেহ হলেই রাস্তার পাশের বাড়িতে প্রবেশ করে বাসিন্দাদের নানা জেরা করছেন তারা। উত্তর পছন্দ না হলে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন গণতন্ত্রপন্থিরা। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের বিদায় জানাচ্ছেন স্বজনরা। এ সময় প্রার্থনার পাশাপাশি, গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা
জান্তা বিরোধী বিক্ষোভাকরীদের হত্যার প্রতিবাদে থাইল্যান্ড সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের একটি সেনাচৌকিতে গত শনিবার কারেন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’ হামলা চালায়। এতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার এক সেনা কর্মকর্তাসহ ১০ জন নিহত হন। মারা যান সংগঠনটির একজন সদস্যও।
ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে জান্তা সরকার থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মুতরাউ জেলার পাঁচটি এলাকায় গত শনিবার গভীর রাতে বিমান হামলা চালায়। গৃহহীনদের একটি আশ্রয় কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়। হামলার সময় গ্রামবাসী জঙ্গল ও পাহাড়ের ঢালে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচান। এরপর সকাল হলে তিন হাজারের মতো গ্রামবাসী শরণার্থী হিসেবে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ড চলে যান।
মিয়ানমারের অধিকার সংগঠন ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্সের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ইউবাঙ্ক জানান, সোমবার সকালে থাইল্যান্ড থেকে জোর করে ২ হাজারের বেশি গ্রামবাসীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা সীমান্ত পেরিয়ে এসে এখন মিয়ানমার অংশের ই থু হতা আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জান্তা বিরোধী আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা ৫২১ জন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রায় অর্ধশত সংবাদকর্মীসহ আটক করা হয়েছে বহু মানুষকে। দেশটির গণতন্ত্রকামী নেতা অং সান সু চি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক গ্রেফতার করে রেখেছে জান্তা সরকার।
সূত্র বিবিসি।