এবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাজ্য ও কানাডা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অস্ত্রের মুখে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করার জেরে পশ্চিমা বিশ্ব দেশটির সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নেয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তিন জেনারেলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করছে ব্রিটেন। অন্যদিকে, কানাডা ৯ জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি তাদের মিত্র দেশগুলোরও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং দেশটির নাগরিকদের সুবিচার নিশ্চিত করা।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার জেরে আগে থেকেই দেশটির জেনারেল মিং অং হ্লাইং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাজ্য।
কানাডাও ঘোষণা দিয়েছে, তারা জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লেইংসহ মিয়ানমারের নয়জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। কানাডীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্নাউ বলেছেন, ‘কানাডা তার আন্তর্জাতিক সহযোগীদের মতোই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে অং সান সু চিসহ অভ্যুত্থানের সময় আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর যুক্তরাজ্য-কানাডার এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে এক টুইটে বলেছেন, ‘জবাবদিহিতার প্রচারে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা পাঠানোর আহ্বান জানাই। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
দু'দেশের নতুন করে নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের সামরিক শাসকের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: এএফপি ও রয়টার্স।