যুদ্ধের আগুনে ন্যাটো ঘি ঢালায় জ্বলছে ইউক্রেন: রাশিয়া

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৫, ২০২২, ০৯:০২ এএম

যুদ্ধের আগুনে ন্যাটো ঘি ঢালায় জ্বলছে ইউক্রেন: রাশিয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলোর পাঠানো অস্ত্র রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ থামাতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। শুধু তাই নয়, ক্রেমলিনের দাবি, যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক সামরিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো। আর তাদের ঘি ঢালা আগুনের আঁচে পুড়ছে ইউক্রেন।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দাবি, ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের বার্তা, তারা ফের সেভেরোডনেৎস্ক শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা, অন্তত ২০ শতাংশ জমি রুশদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।

দনবাস অঞ্চলে এখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেভেরোডনেৎস্কের। বন্দর নগরী মারিউপোলের মতো এটিও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। রাশিয়ার থেকে এটিকে বাঁচাতে প্রাণপণে লড়ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং একই রণকৌশলে মারিউপোলের মতো এটিকেও গুঁড়িয়ে, মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে রুশ বাহিনী। দীর্ঘদিন ধরেই এই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল মস্কো। একটু একটু করে গিলে ফেলছিল শহরটাকে।

বিবিসিৎর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি লুহানস্কের গভর্নর সেরি হাইডাই জানিয়েছেন, শহরের ৭০ শতাংশ রাশিয়ার হাতে চলে গিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সময় রবিবার তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ২০ শতাংশ জমি রুশ দখলদারদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। হাইডাই আরও বলেন, ‘‘আমাদের হাতে যতক্ষণ পশ্চিমের পাঠানো দূরপাল্লার যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে, ততক্ষণ আমরা ওদের এগোতে দেব না। আমার বিশ্বাস, যা অস্ত্র রয়েছে, ওরা এক সময় পালাতে বাধ্য হবে।’’

এদিকে, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব দনবাসের অন্যত্রও আকাশপথে রুশ হামলা বাড়ছে। একের পর এক সেতু উড়িয়ে দিচ্ছে তারা। রবিবার কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি পণ্যবাহী বিমান গুলি করে নামিয়েছে রাশিয়া। দনেৎস্কে একটি গির্জায় গোলা বর্ষণ করে পুতিন বাহিনী। কাঠের তৈরি গির্জায় দ্রত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ইউক্রেনের অর্থোডক্স গির্জা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘‘ধর্মস্থানের মূল গম্বুজটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।’’ এক ইউক্রেনীয় সেনা কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আগুনের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘ফের এক জঘন্য অপরাধ। ওদের কাছে পবিত্র বলেও কিছু নেই।’’

কয়েকশো বছরে পুরনো ওই গির্জা গত শতকে কমিউনিস্ট-শাসনে বন্ধ পড়ে ছিল। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত পতনের পরে এটি ফের খুলে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনার জন্য কিয়েভ দায়ি বলে অভিযোগ করেছে মস্কো।

Link copied!