বেটা
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ১১:২৫ এএম
পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে তিক্ত সম্পর্কের মধ্যেই এবার ব্রিটেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাতিল করেছে ফ্রান্স। লন্ডনে চলতি সপ্তাহেই দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফ্রান্সে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত লর্ড রিকেটসের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি ও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের মধ্যে দুই দিনব্যাপী ওই বৈঠক আপাতত হচ্ছে না। পরবর্তী কোনো সময় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমান পরিস্থিতির পুনরায় মূল্যায়ন করতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির আরেক অংশীদার যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরতে বলা হয়নি। এ নিয়ে জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর কোনো মানে হয় না। দেশটিকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
কেন চটেছে ফ্রান্স
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চুক্তি হয় যা এইউকেইউএস নামে পরিচিত। এই চুক্তির অধীনে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রযুক্তি সরবরাহ করবে ওই দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার এ চুক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফ্রান্স। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সাবমেরিন-সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি আগেই হয়েছিল যার আর্থিক মূল্য চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
এসবের কারণে ত্রিদেশীয় এ চুক্তি নিয়ে চটেছে ফ্রান্স। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান একে ‘পেছন থেকে ছুরি মারার মতো’ বলে উল্লেখ করেছেন। মিত্রদের মধ্যে এমন ব্যবহার একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলে জানান তিনি। নতুন নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া বিশ্বাসভঙ্গ ও অপমানজনক আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য ফরাসি এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায় ফ্রান্স। বর্তমান পরিস্থিতির পুনরায় মূল্যায়ন করতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির আরেক অংশীদার যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরতে বলা হয়নি। এ নিয়ে জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর কোনো মানে হয় না। দেশটিকে ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
