যাত্রীবাহী বাস রেলের সেতু ভেঙে নিচে পড়ে দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৯ মে) স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের খারগোন এলাকায় একটি সেতুর রেলিং ভেঙে বাস নিচে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই ও সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। গণমাধ্যম দুটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সেতু থেকে একটি বাস পড়ে যাওয়ার পর অন্তত ২২ জন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বর্তমানে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। নিহতদের মধ্যে ৩জন শিশু, ৬ জন নারী রয়েছেন।
খারগোনের সাব-ডিভিশনাল অফিসার (পুলিশ) রাকেশ মোহন শুক্লার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ইন্দোরের দিকে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসটি জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে ডোঙ্গারগাঁওয়ের কাছে বোরাদ নদীর ওপরে অবস্থিত সেতুর রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,নদীতে পানি নেই। আহত যাত্রীদের খারগোন জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
খারগোন জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারা মনে করছেন, বাস চালানোর সময় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে যাত্রীবাহী বাসটি সেতুর রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই গ্রামবাসীরা আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে।
এদিকে, বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে চার লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি এবং সামান্য আহতদের ২৫ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।