সোমবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে ৮, ২০২২, ০৬:৫৪ পিএম

সোমবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

সোমবার (৯ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিলিপাইনের সাধারণ নির্বাচন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনে  প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের জায়গায় আগামী ছয় বছরের জন্য কে ক্ষমতায় আসবেন, তা-ই এখন দেখার বিষয়। মাদকবিরোধী লড়াইয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য সমালোচিত দুতার্তে গত বছরের অক্টোবরে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট শুধু এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেন। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নেই দুতার্তের।

প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ফান্ডিনান্ড মারকসের ছেলে ফার্ডিনান্ড বংবং প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। ১৯৭২ সালে বংবং এর বাবা দেশটিতে সামরিক শাসন জারি করেন। ভিন্নমতের হাজার হাজার ফিলিপিনো নাগরিককে গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে। সেসময় বংবং এবং তার স্ত্রী এমেল্ডা এবং বংবং এর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ১৯৮৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় তাকে। এর কিছুদিন পরই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পুত্র বংবং এর বিরুদ্ধেও কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। বংবং শিবিরে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হার্ডলাইনার রডরিগোর দুতার্তের মেয়ে সারা দূতারতে। এই জুটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমানের ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনি রবরোডে। রবরোডে আগে আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। 

১১ কোটি নাগরিকের ফিলিপাইনে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ভোটার রয়েছেন। তাঁদের বড় অংশই ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবেন। ৯ মে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ১২টি সিনেট আসন, নিম্নকক্ষের ৩০০ আসন ও স্থানীয় প্রশাসনের ১৮ হাজার আসন, সিটি মেয়র, প্রাদেশিক গভর্নর, স্থানীয় কাউন্সিলে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনেটররা ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। অন্যদের মেয়াদ তিন বছর। সব পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে একটি ব্যালট পেপার থেকেই বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন একজন ভোটার। সাত হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফিলিপাইন দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত। ১৫২১ সালে এটি স্পেনের উপনিবেশে পরিণত হয়। দেশটি ১৮৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ১৯৪২ সালে জাপানি উপনিবেশের অধীনে চলে যায় এবং ১৯৪৬ সালে স্বাধীন হয়।

 

Link copied!