ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। অথচ প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে মিশন শুরু হয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ফাইনালে পা রেখে মেসি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে হারই ২০২২ আসরে ফাইনালের লড়াইয়ে নাম লেখাতে সাহায্য করেছে তাদের।’
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ম্যাচ জয়ের পর সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন লিওনেল মেসি।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের কাছে পরাজয় আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল। কারণ, এর আগে টানা ৩৬ ম্যাচ হারের স্বাদ নিয়ে কাতারে এসেছিলাম আমরা। বিশ্বকাপে এভাবে শুরু করাটা বড় ধাক্কাই ছিল। আমরা কল্পনা করতে পারিনি, সৌদি আরবের কাছে হারতে পারি।’
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেন, ‘পরের ম্যাচগুলো আমাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা ছিল। তবে সময় যত গড়িয়েছে, প্রমাণ করতে পেরেছি আমরা কতটা শক্তিশালী দল। পরবর্তী প্রত্যেকটা ম্যাচ আমরা ফাইনাল মনে করেছিলাম। কারণ, জানতাম হেরে গেলে পরিস্থিতি আমাদের জন্য জটিল হবে।’
৩৫ বছর বয়সী ম্যাজিশিয়ান বলেন, ‘আমাদের ওপর একধরনের মানসিক চাপ ছিল। তবে সেটা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। পরের পাঁচ ফাইনালেই (ম্যাচ) আমরা জিতেছি। আশা করি, চূড়ান্ত খেলায়ও তা-ই হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও জয় পাব।’
মঙ্গলবার লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলার ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি।
হাফটাইমের আগে একক নৈপুণ্যে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুলিয়ান আলভারেজ। আর শেষদিকে মেসির জাদুকরী অ্যাসিস্ট নিশানাভেদ করেন তিনি। এতে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন আলবিসেলেস্তেরা। এতে লুকা মদ্রিচদের উড়িয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে তারা।
প্রসঙ্গত, সি গ্রুপে আর্জেন্টিনার সূচনাটা মোটেও ভালো ছিল না। তুলনামূলক খর্বাশক্তির সৌদির কাছে ২-১ গোলে হেরে অভিযান শুরু হয় আলবিসেলেস্তেদের। তবে একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মেসি।