বিডিআর বিদ্রোহ: ডিএডি আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৭:১৩ এএম

বিডিআর বিদ্রোহ: ডিএডি আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহের ঘটনায় করা মামলার আসামি বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ।

এই মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আরও দুজন আসামি হলেন- আজিজ আহমেদ ও পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল। এ ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আশরাফুল ইসলাম খান, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু।

এ ছাড়া ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও কারাগারের চিকিৎসকদেরও আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ বলেন, “আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের প্রধান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করা হয়।” তার অভিযোগ, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।

মামলার বাদী আরও অভিযোগ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিমকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যা চেষ্টা করে কয়েকজন। কিন্তু সাধারণ সৈনিকেরা তার বাবাকে ভালোবাসতেন বিধায় তারা তাকে রক্ষা করেন। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে কোনও একদিন ডিএডি আব্দুর রহিমকে পিলখানার ঢাকা সেক্টরের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে জেনারেল আজিজ ও আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন পিলখানার ঘটনার রাজসাক্ষী হতে বলেন। তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রাজসাক্ষী হয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অনুরোধ করেন।

বাদীর বাবা রাজি না হওয়ায় তাকে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাদীর বাবার শরীরে ইনজেকশন পুশের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়।

Link copied!