নিষেধাজ্ঞার পরও টর্চের আলোতে চলে কেনা-বেচা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২০, ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম

নিষেধাজ্ঞার পরও টর্চের আলোতে চলে কেনা-বেচা

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে ইলিশ ধরার ওপরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যেই বরিশালের মুলাদীতে টর্চের আলোতে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ।

উপজেলার জয়ন্তী নদীর তীরবর্তী ভেদুরিয়া, বেপারীর হাট, সীমান্তবর্তী হিজলার আবুপুর এলাকায় রাতে হাট বসিয়ে ইলিশ বিক্রি করছেন জেলেরা। কম দামের আশায় সাধারণ মানুষও ইলিশ কিনতে আসছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভেদুরিয়া ও হিজলার আবুপুর এলাকায় ইলিশের হাট দেখা গেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এসব হাটে ইলিশ বেচাকেনা চলে বলে জানান স্থানীয়রা।

গত ২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। ইলিশ রক্ষায় জেলেদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা ইলিশ ধরছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন বলছেন, জেল, জরিমানা দিয়েও ইলিশ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না।

কেউ কেউ ফ্রিজে ইলিশ সংরক্ষণ করছেন। যেসব জেলেদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই তাঁরা রাতে হাট বসিয়ে ইলিশ বিক্রি করছেন।

ভেদুরিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান জানান, প্রতিদিনই ভেদুরিয়া ও আবুপুর খেয়াঘাটে ইলিশের হাট বসে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলেরা ইলিশ বেচা-কেনা করেন। 

কম দামের আশায় সাধারণ মানুষ এসব জায়গায় ইলিশ কিনতে আসেন। মাঝে মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসন আসলে দালালদের মাধ্যমে আগেই খবর পেয়ে দ্রুত গাঁ ঢাকা দেন জেলেরা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন বলেন, প্রতিদিন আড়িয়ারখা ও জয়ন্তী নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫ জেলেকে জেল এবং বেশ কিছু জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে।

এরপরও জেলেরা আইন অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকারের চেষ্টা করছেন। জেলেদের থামাতে থানা ও নৌ-পুলিশের সহায়তায় নদীতে অভিযান বাড়ানো হবে।

Link copied!