সরকারি কর্ম কমিশনসহ (বিপিএসসি) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আটক ১৭ জনসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে বিপিএসসি আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্সের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এই মামলা করেন। এজহারে উল্লেখ করা হয়, এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা অন্তত আরও ৫০-৬০ জনকে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মূল্যের সম্পদের মালিক আবেদ, বাড়িতে ঢুকতে দিলেন না সাংবাদিককে
এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিন অভিযান চালিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সোহানুর রহমান সিয়ামসহ ১৭ জনকে আটক করে সিআইডি। তাদের সবাইকে দায়ের করা এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এজহার সূত্র জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র গত ৫ জুলাই পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস করে। পরে একদল পরীক্ষার্থীর কাছে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর বিতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গত ৭ জুলাই ঢাকার শ্যামলী থেকে লিটন সরকারকে আটক করে সিআইডি। পরে তার দেওয়া তথ্যে প্রিয়নাথ ও জাহিদকে আটক করা হয়।
এভাবে অন্যান্য আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৭ জনকে আটক করেছে সিআইডি। এজাহার নামীয় পলাতক আসামিরা হলেন পিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, মো শরীফুল ইসলাম, দীপক বনিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, গোলাম হামিদুর রহমান, মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এ টি এম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম, কৌশিক দেবনাথ।
চক্রের মূল হোতা সাজেদুল। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পিএসসির উপ-পরিচালক আবু জাফরের কাছে সংগ্রহ করতেন। পরে তিনি অন্যান্য সহযোগী সাখাওয়াত ও সাইমের মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করতেন এবং ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় ভাড়া করা বাসা বা হোটেলে চাকরিপ্রার্থীদের এনে জড়ো করতেন। পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র এবং তার উত্তর ফাঁস করতেন। এজন্য চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ টাকা নিতেন তারা।