শীত প্রায় চলেই যাচ্ছে, আবহাওয়া খুবই শুষ্ক। এইসময় অনেকের সিজনাল ডাস্ট অ্যালার্জি হচ্ছে। শীতকালে বাতাসের শুষ্কতার কারণেই মূলত ডাস্ট অ্যালার্জি বেশি হয়। ডাস্ট অ্যালার্জি কেবল ধুলাবালির কারনেই নয়, ঘরের ভিতরে থাকা কিছু জিনিসের কারণেও হতে পারে।
ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র্যাশ, চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি ঝড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীর যখন কোনো কিছুর প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায় তখন অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়। ডাস্ট অ্যালার্জি কেন হয়, প্রতিকারের উপায় কি?
১. ডাস্ট অ্যালার্জির বড় কারণ হলো মাইট, ডাস্ট মাইটস বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধুলার কণা বা পোকা বাতাসে ভেসে চলাচলের সময় নাকে ঢুকে জ্বালা সৃষ্টি করে। যার ফলে চুলকানি, হাঁচি, কাশি হতে পারে।
২. ঘাস বা ফুলের রেণু নাকে প্রবেশ করলে তা থেকেও অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশন হয়।
৩.কুকুর, বিড়াল বা পোষা প্রাণীর লোমের জন্যও ডাস্ট অ্যালার্জি হয়।
৪. পরিবারের কারও আগে থেকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বাকি সদস্যদেরও হতে পারে, অল্পবয়স্ক শিশু, হাঁপানি রোগী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এ ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে।
৫.পরিবেশে উপস্থিত ছাঁদ বা একধরণের ছত্রাকও অ্যালার্জির সৃষ্টি করে।
চুলকানি, অনবরত হাঁচি, কাশি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া কিংবা চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকা, নাক-কান-গলা-মাথা ব্যথা, চামড়ার উপর ফুসকুড়ি ওঠা ছাড়াও নানাভাবে ডাস্ট অ্যালার্জির লক্ষন প্রকাশ পায়।
প্রতিকার ও রোধের উপায়
১. অ্যালার্জি হয় এমন খাবার পরিহার করুন। হঠাৎ হাঁচি, চুলকানি কিংবা চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে পারেন।
২.ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কাটাতে স্টিম নিতে পারেন। এজন্য একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার থেকে নির্গত বাষ্প নাক এবং মুখের সাহায্যে গ্রহণ করুন।
৩.টকদই খেয়েও অ্যালার্জি সারাতে পারেন। কারণ এতে থাকে প্রোবায়োটিক ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী।
৪. দুই টেবিল চামচ খাঁটি মধু এক কাপ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুবার খেতে পারেন।
৫. ডাস্ট অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাসের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকর। ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস, দিনে দু’বার পান করুন। এতে থাকা ব্যথানাশক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট ব্যথা এবং ফোলাভাবের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি।
৬. ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় গ্রিন টি খেয়ে দেখতে পারেন। গ্রিন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদানটি চোখে লাল ভাব, র্যাশ বেরনো ইত্যাদি রুখতে অত্যন্ত কার্যকর।
৭. সমস্যা না কমলে ডাস্ট অ্যালার্জির থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।