গরমকাল হোক বা বর্ষাকাল, ত্বকের সমস্যা যে কোনও সময়ই হতে পারে। গরমকালে যেমন ঘামাচি বা ত্বকে লালভাবের মতো সমস্যা হয়। আবার বর্ষায় ফাঙ্গাল বা ব্যাক্টেরিয়া জনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাই ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষ করে যারা খেলোয়াড় কিংবা বাইরে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন তাদের পায়ে দাদ, নখে ছত্রাক, ত্বকে ফুসকুড়ি কিংবা গোপনাঙ্গে সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। ডার্মাটফাইট কিংবা টিনিয়া পেডিস এখন উদ্বেগের কারণ!
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের যেসব স্থানে সহজেই ঘাম জমে যেমন- পায়ের ভাঁজ কিংবা বগলে ফাংগাল সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। এর থেকে চুলকানি, লালভাব ও ফোলাভাবের সৃষ্টি হয়।
আমরা সম্প্রতি খুব কঠিন একটি অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছি, ফাঙ্গাল ইনফেকশনগুলো রেজিসট্যান্স হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হলো রোগীরা কাউন্টার থেকে যত্রতত্র মলম কিনে নেয়। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় স্টেরয়েড বা স্টেরয়েডের সঙ্গে মেশানো অ্যান্টিফাঙ্গাল জাতীয় একটি মলম থাকে। এসব লাগায়।
যত্রতত্র এগুলো ব্যবহার করার কারণে ফাঙ্গাসগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ওষুধ দিয়েও ভালো হচ্ছে না। এ জন্য আমি বলব, না বুঝে নিজে কোনো ওষুধ লাগাবেন না। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ ব্যবহার করুন।
অনেকে মনে করে, সাত দিন ওষুধ খেল, ভালো হয়ে গেল। আসলে কিন্তু এটি ভেতরে রয়ে যাচ্ছে। ছাই চাপা আগুনের মতো। এটি দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা। যেতে প্রায় এক মাস লেগে যায়। এক মাস নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে এবং নিয়মিত মলম লাগাতে হবে। তাহলে হয়তো যাবে।
আরেকটি হলো ক্যান্ডিডা। আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে হয়। সাদা সাদা হয়ে যায়। পানিতে যাঁরা হাত বা পা ভিজিয়ে রাখবেন, প্রথমে এসেই পরিষ্কার সাবানপানি দিয়ে জায়গাগুলো ধুয়ে ফেলুন। এর পর ভালো করে ময়েশ্চারাইজ করে দেন। আঙুলের ফাঁকগুলো ভালো করে মুছে শুকনো করে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। তবে যদি হয়েই যায়, তাহলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ট্যাবলেট খেতে হবে, মলম লাগাতে হবে।
আরেকটি ফাঙ্গাস হলো সোদ। এটি খুব প্রচলিত। যেসব জাগায় তেল বেশি থাকে, সেখানে এগুলো হয়। এ জন্য বেশি ময়েশ্চারাইজার, তৈলাক্ত জিনিসপত্র মুখে লাগাবেন না। এটি প্রতিরোধের জন্য কিছু ট্যাবলেট আছে, আর কিছু শ্যাম্পু আছে, সেগুলো দেওয়া হয়। এগুলো চুলের গোড়ায় গোড়ায় লুকিয়ে থাকে। এসব শ্যাম্পু মাথায় লাগান, এর পর সারা গায়ে লাগান। চার-পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দেখা যাবে এটি প্রতিরোধ হচ্ছে। এটা নতুন করে হবে না।