শীত আসছে। প্রকৃতিতে দেখা দিচ্ছে শুষ্কতা। এর ছাপ পড়ে মানুষের ত্বকের ওপর। এতে বদলে যায় ত্বকের স্বাভাবিক ধরন। কারও স্বাভাবিক ত্বক অতিরিক্ত খসখসে হয়ে পড়ে আবার কারও কারও ত্বকে দেখা দেয় মৃত কোষের বাড়াবাড়ি। তাই পরিবর্তিত মৌসুমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাই ভিন্ন যত্ন।
ত্বকের যত্নে প্রথমেই দরকার স্ক্র্যাবিং। মৃত কোষ দূর করার জন্য স্ক্র্যাব বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে ঘরে বসেই। এজন্য প্রয়োজন দানাদার উপাদান, যা অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে ত্বকের ওপর লাগিয়ে ম্যাসাজ করলে দানার ঘর্ষণে মৃত কোষগুলো নরম হয়ে ধীরে ধীরে উঠে যাবে। এগুলোর মধ্যে একেবারে হাতের নাগালে পাওয়া যায় চালের গুঁড়ো, চিনি, ওটস। মধু ও জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিলেই হয়ে যায় পারফেক্ট স্ক্র্যাবিং প্যাক।
ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহারের বিকল্প নেই। গরমকালে জেলধর্মী ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা হলেও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ক্রিমধর্মী ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা উচিত। কারণ শীতল আবহাওয়া ত্বক থেকে আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। স্ক্র্যাবিং করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ক্রিম-ধর্মী ক্লিঞ্জার ব্যবহার করাই ভালো।
গ্রীষ্মকালের তাপ ও আর্দ্রতার জন্য অনেকের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার প্রয়োজন হয় না। তবে শীতকালের শুষ্ক মৌসুমে ত্বক থেকে আর্দ্রতা চলে যায়। ফলে ত্বক নির্জীব হয়ে পড়ে। তাই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন। আর প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন।
এ তো গেল বাহ্যিক যত্নের কথা। প্রসাধনীর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারও খাওয়া উচিত। যাতে ভেতর থেকে ত্বকের সুরক্ষিত থাকে।
ওমেগা-থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড পরিবর্তিত মৌসুমে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। এগুলো ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর।
শস্যজাতীয় খাবার, ডাল, লেটুস, সবুজ শাকসবজি ও পালংশাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে। শীতে ত্বকের খসখসে, শুষ্ক ভাব দূর করতে চাইলে ভিটামিন বি–এর বিকল্প নেই।
এরইমধ্যে বাজারে এসেছে শীতের সবজি। এসময় অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়। সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপিতে ভিটামিন কে পাওয়া যায়। ভিটামিন কে ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
এ ছাড়া প্রচুর পানি পান করতে হবে। নিয়মিত যোগব্যায়াম ও দৈনিক আট ঘণ্টা ভালো ঘুম দিতে হবে।