সকালে অফিসের তাড়ায় নাস্তা করে বের হতে পারে না অনেকেই। সকালে বেরোনোর জন্য তৈরি হওয়া, সময়মতো অফিস ধরতে হবে এই চিন্তা থেকে আর খাওয়ার সময় হয়না। দিনের পর দিন এমন অনিয়ম চললে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়াও অসম্ভব নয়। সকালের খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওটা এড়িয়ে গেলে চলবে না। বানাতে বেশি সময় লাগবে না, এমন কয়েকটি চটজলদি জলখাবার বানাতে পারেন।
অমলেট
শুনতে মুখরোচক লাগলেও, বানাতে হবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে। লঙ্কা, পেঁয়াজ আর জবজবে তেল দিয়ে তৈরি করলে চলবে না। শীতকালে নানা রকম সব্জি পাওয়া যায়। গাজর, বিনস, ধনেপাতা, সেগুলি দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু সকালে সব কাজ সামলে নিজের স্বাস্থ্যকর অমলেট বানানোর সময় থাকে না। সেক্ষেত্রে রাতে সব সব্জি কেটে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে উঠে শুধু ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে ভেজে নিন।
ওটস
নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। আলাদা করে রান্না করার ঝক্কি নেই। সকালে উঠে দইয়ে ভিজিয়ে রাখলেই হল। খাওয়ার সময় কলা আর ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার শীতে দই খেতে না চাইলে, দুধ দিয়েও খেতে পারেন ওটস। হাতে অল্প সময় থাকলে ওটসের খিচুড়িও বানিয়ে নিতে পারেন।
প্রোটিন স্মুদি
সকালে উঠে তৈরি হতে দেরি হয়ে গিয়েছে বলে, না খেয়ে অফিসে বেরিয়ে যাওয়া বোকামি। এমন হলে চটজলদি ফল দিয়ে বানিয়ে নিন স্মুদি। বেশি কিছু নয়, আপেল, কলা আর দই দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন এই স্মুদি। মিশ্রণটিতে একটু প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে নিন। শরীর চনমনে থাকবে।
সূত্র: আনন্দবাজার