বেটা
নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৯:০০ পিএম
যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে চলমান হরতাল-অবরোধে ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগ এবং ৩১০টি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ জন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ২৭৫টি যানবাহন, ২৪টি স্থাপনা ভাঙচুর ও ১১টি অন্যান্যসহ মোট ৩১০টি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি একই সময়ে ২৯০টি যানবাহন, ১৭টি স্থাপনা ও ৬৯টি অন্যান্য স্থাপনাসহ মোট ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ঘটনায় কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্যসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন।’
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পরবর্তী হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলায় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, ৫ নভেম্বর পিরোজপুর এবং ৬ ও ১৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের দুটি অফিসে দুবৃর্ত্তরা অগ্নিসংযোগ করে।
সদরদপ্তর আরও জানায়, ১৯ নভেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর থানার বরমী ইউনিয়নের ১৩২ নম্বর গিলাশ্বর মরহুম আ. জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের তৈরি স্কুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ওই বিদ্যালয়ের চারটি বেঞ্চ এবং একটি টিনের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অবরোধ চলাকালে ৩১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত রেলওয়েতে ২৪টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, টাঙ্গাইল ও জামালপুরে তিনটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মহানগরে একটি, ময়মনসিংহে দুটি, গাজীপুরে একটি, নেত্রকোণায় একটি এবং নওগাঁয় একটিসহ ছয়টি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
কিশোরগঞ্জে একটি, নোয়াখালীতে দুটি, সিলেটে একটি, পাবনায় একটি, দিনাজপুরে একটি ও গাজীপুরে তিনটিসহ রেললাইনে নয়টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে রেললাইন কেটে ফেলার চেষ্টার তিনটি এবং গাইবান্ধায় রেললাইনের ফিস প্লেট খোলার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। পাবনায় ট্রেনে পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জে রেললাইনের উপরে অতিরিক্ত তিন ফুট লম্বা তিন ইঞ্চি চওড়া পাত সংযোজন করে নাশকতার চেষ্টা করা হয়।
