এক বছরে বাংলাদেশে ৫১৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, বেশি মেয়েরা: জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম

এক বছরে বাংলাদেশে ৫১৩  শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, বেশি মেয়েরা: জরিপ

প্রতিকী ছবি

২০২৩ সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও গত বছর নারী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে। এর পেছনে বড় প্রভাব হিসেবে কাজ করেছে অভিমান। দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সামাজিক সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। 

সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এ সমীক্ষা বলছে, সবথেকে বেশি আত্মহত্যা করেছে নারী শিক্ষার্থীরা, ৬০ দশমিক ২ শতাংশ। আর শিক্ষার স্তর বিবেচনায় আত্মহত্যা বেশি স্কুলগামীদের, ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩ সালের আত্মহত্যার এই চিত্র তুলে ধরেন সংগঠনটির রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের টিম লিডার ফারজানা আক্তার লাবনী।

 

তিনি বলেন, গত বছর আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে ২০৪ জন, নারী ৩০৯ জন। ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেন ৫৩২ জন। এ বছর কিঞ্চিৎ কমলেও তা আশানুরূপ নয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ২২৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী (৪৪.২০%) আত্মহত্যা করেন। কলেজ শিক্ষার্থী রয়েছেন ১৪০ জন (২৭.২%), বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৯৮ জন (১৯.১%) এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৪৮ জন (৯.৪%)।

আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, আত্মহত্যার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো অভিমান যা ৩২.২ শতাংশ। এরপরেই প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে ১৪.৮ শতাংশ। এছাড়া, মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন ৯.৯ শতাংশ এবং পারিবারিক কলহ এবনং নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন আরও ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এগুলো হলো—মাসে অন্তত একবার মেন্টাল হেলথ স্ক্রিনিং করা, মেন্টর ও শিক্ষার্থীর মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি, হেলথ কর্নার চালু, প্রচারণা কার্যক্রম চালু ইত্যাদি। 

সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদসহ আরও অনেকে।

Link copied!