এডিসি হারুনকে এপিবিএন-এ বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০১:৩৭ এএম

এডিসি হারুনকে এপিবিএন-এ বদলি

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে এপিবিএন-এ বদলি করা হয়েছে।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বদলি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার অর্পণ করবেন, না হয় ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।

এর আগে দুপুরে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে সংযুক্ত করা হয়।

এদিকে ওই ঘটনায় একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী দুইদিনের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে ডিএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে রমনা থেকে প্রত্যাহার

তদন্ত কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) ও দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) রমনা বিভাগ এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ)।

এর আগে দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। এটি তদন্ত করা হবে, তদন্তে এডিসি দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গতকাল রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে শাহবাগ থানায় এনে মারধর করে বলে অভিযোগ করা হয়।

মারধরের শিকার দুজন হলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।

ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, এডিসি হারুন শনিবার বিকেলে ৩১তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী পরিচয় দেওয়া ৩১তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতেই ঘটনা মীমাংসা করেন বলে জানা গেছে।

তবে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

Link copied!