পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে মোকাবেলা করবে সেনাবাহিনী: ইসি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৩, ২০২৪, ১১:৩২ পিএম

পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে মোকাবেলা করবে সেনাবাহিনী: ইসি সচিব

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে সেখানে সশস্ত্র বাহিনী মোকাবেলা করবে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী তারা বৈঠক করেন।

কোনো সহিংস ঘটনা যদি ঘটে কিংবা ঘটার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, এমন বিষয় উত্থাপন করা হলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘প্রথম হচ্ছে আমরা প্রত্যাশা করি না, এই নির্বাচনে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটবে। যদি ঘটে তখন সমন্বিতভাবে সবাই সেটা প্রতিহত করবে।’

সশস্ত্র বাহিনী কী প্রতিহত করার কোনো ব্যবস্থা নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। সুতরাং যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে বেসামরিক প্রশাসন যেখানে মনে করবে সেখানে তারা মোকাবেলা করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সব আয়োজন নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন যারা আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ, তাদের প্রধানদের সঙ্গে আজকে আমাদের বিশেষ মিটিং হয়েছে। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার মহোদয়সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাহিনীগুলোর প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। সব বাহিনী মাঠ পর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। এটা একটা ফলোআপ মিটিং ছিল, যে কোনো বাহিনীর কত জন, কোথায় কীভাবে কাজ করছেন। সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে কমিশনকে অবহিত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে প্রত্যেকেই বলেছেন, এই পর্যন্ত মাঠে যে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অবস্থা, তা এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো নাশকতার আশঙ্কা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে এজন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও সক্রিয় রাখবে। যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রগুলোর অতীত ইতিহাস, ভোটারের সংখ্যা এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে দুই জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তিনজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ তিনজন পুলিশ এভাবে তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে।’

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ১সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা, তারা তো পেট্রল (টহল) ডিউটি করবেন। তারপর বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পেট্রল ডিউটি করবেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে (গুরুত্বপূর্ণ) অবস্থান করবে। যখন স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে কাজ করবেন। এছাড়া সমন্বিতভাবে তারা পেট্রল ডিউটি অব্যাহত রাখবে। জনগণের মধ্যে যেন ভীতি না থাকে, যে ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদের কোনো বিপদ হবে না এই বিষয়টিতে তারা কাজ করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন একেবারে কাছে। তাই এটি একটি ফলোআপ মিটিং ছিল। তারা কমিশনকে মাঠের অবস্থাটা অবহিত করছেন। কমিশনের অবস্থাটা আমরা বারবার বাইবেলের মতো বলে যাচ্ছি যে, ফ্রি (অবাধ), ফেয়ার (সুষ্ঠু) ইলেকশন। যিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাবেন তিনি আইনের আওতায় আসবেন।’

Link copied!