পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: ডিবিপ্রধান

বিশেষ প্রতিবেদক

জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম

পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: ডিবিপ্রধান

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের নেপথ্যে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।”

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির প্রথম টার্গেট ছিল পুলিশ। তারা বারবার রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। ২৮ অক্টোবরও সেটা দেখা গেছে। সে সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এবার কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে এসব অপশক্তি জামায়াত-বিএনপি চক্র শনির আখড়ায় ও রায়েরবাগ এলাকায় গিয়ে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সদস্যদের যেখানে পেয়েছে, সেখানেই পিটিয়েছে।”

ডিবিপ্রধান বলেন, “বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করেছে তারা। উদ্দেশ্য ছিল একটাই- পুলিশকে ডিমোরালাইজড করা। পুলিশকে ডিমোরালাইজড করতে পারলে তারা হয়ত মনে করেছিল আন্দোলন সাকসেস হবে। পুলিশ দুর্বল হলে পিছু হটবে। তখন তারা এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর ও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে মনে করেছিল। দেশ ও জনগণের জন্য পুলিশ সদস্যরা নানা সময়ে আত্মাহুতি দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এই কোটা আন্দোলনে ৩ পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। কিন্তু পুলিশের মনোবল মোটেও ভাঙেনি।”

Link copied!