বন্ধ পোস্তগোলা সেতু, ঢাকায় বাড়তে পারে যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ১০:৪৮ এএম

বন্ধ পোস্তগোলা সেতু, ঢাকায় বাড়তে পারে যানজট

সংগৃহীত ছবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (এন-৮: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) মহাসড়কের তৃতীয় কিলোমিটারে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা সেতু-১ এর (পোস্তগোলা সেতু) দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।

মেরামত চলাকালীন ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ- এই ১৬ দিন ভারী যানবাহন চলতে পারবে না এই সেতু দিয়ে। তবে বাস ও হালকা যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে পাঁচদিন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ঢাকাসহ ২১ জেলার যানবাহনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাড়তি যানজট হতে পারে। হালকা যানবাহনগুলো ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১, ৪ ও ৮ মার্চ বিকল্প সড়ক ব্যবহার করবে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারী যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক ব্যবহার করবে।

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ঢাকায় প্রবেশের প্রধান পথ দুটি। এর একটি পোস্তগোলা সেতু দিয়ে যাত্রাবাড়ী, অন্যটি বাবুবাজার সেতু দিয়ে গুলিস্তান। এর মধ্যে বেশি ব্যবহার হয় যাত্রাবাড়ী পয়েন্ট। অব্যবস্থাপনা আর অপ্রতুল অবকাঠামোর কারণে দুই প্রবেশপথেই যানজট লেগে থাকে। আজ থেকে পোস্তগোলা-যাত্রাবাড়ী প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গুলিস্তানসহ ঢাকার দক্ষিণ অংশে যানজট বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ভারী যানবাহনসমূহ (ট্রাক-পিকআপ ভ্যান, কাভার্ডভ্যান, কনটেইনারবাহী লরি) ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত এবং হালকা যানবাহনকে (বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি) ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১, ৪ ও ৮ মার্চ- এই পাঁচদিন বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হলো।

ভারী যানবাহন ও বড় বাসের জন্য নির্দেশনা বিকল্প সড়ক

১. যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কগামী যানবাহন ধোলাইপাড় বাসস্ট্যান্ড ও বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন হয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করবে।

২. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক থেকে যাত্রাবাড়ীগামী যানবাহন তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন-বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে ধোলাইপাড় হয়ে যাত্রাবাড়ী প্রবেশ করবে।

৩. গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহনগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে যাতায়াত করবে।

৪. দেশের পূর্বাঞ্চল/দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চল/দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনগুলো চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট হয়ে যাতায়াত করবে।

৫. দেশের উত্তরাঞ্চল হতে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে যাতায়াত করবে।

হালকা যানবাহনের (মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটোরিকশা) জন্য বিকল্প সড়ক

১. পদ্মা সেতু থেকে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামমুখী যানবাহন শ্রীনগর-মুন্সিগঞ্জ-মুক্তারপুর সেতু- তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

২. সিলেট, চট্টগ্রাম থেকে পদ্মা সেতুমুখী যানবাহন মদনপুর থেকে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মুক্তারপুর সেতু মুন্সিগঞ্জ-শ্রীনগর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

৩. পদ্মা সেতু থেকে ঢাকাগামী যানবাহন শ্রীনগর দোহার-নবাবগঞ্জ-কেরানীগঞ্জ (আর-৮২০) সড়ক, তুরাগ-রোহিতপুর (জেড-৫০৬৯), আব্দুল্লাহপুর-রাজাবাড়ী বাজার-কোনাখোলা মোড়-বছিলা সেতু-মোহাম্মদপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইনার সার্কুলার রোডটা কিন্তু আগে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে পোস্তগোলা সেতুর আগেই ভারী যানবাহনগুলোকে আমরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে পারব। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্রিজের উপরও চাপ কমবে এবং ভবিষ্যতে যাত্রবাড়িতে আমরা এখন যে চাপ দেখি সেটাও কিন্তু কমে যাবে।’ 

Link copied!