প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী

দেশকে লুটেরাদের হাতে ছেড়ে দেবেন না, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২৫, ২০২৩, ০৯:০১ পিএম

দেশকে লুটেরাদের হাতে ছেড়ে দেবেন না, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

সংগৃহীত ছবি

দেশের অব্যাহত উন্নয়নে বিদেশে কমর্রত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’র পক্ষে ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “দেশকে লুটেরাদের হাতে ছেড়ে দেবেন না, অন্যথায় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনারা নিশ্চিত করুন যে, দেশের উন্নয়নের যাত্রা কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই অব্যাহত থাকবে।”

এ সময় তিনি কোনো লুটেরা যাতে দেশকে ধ্বংস করার জন্য আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।” এসময় দেশের উন্নয়নের অদম্য গতি যাতে কোনোক্রমেই ব্যাহত না হয়, সেজন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা পেয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়েছে অথচ বিএনপিকে ভোট দিয়ে লুটপাট, দুর্নীতি ও হত্যা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি, তাদের দুঃসময়ে পাশে থাকি এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছি।’

 এসময় তিনি আরও বলেন, “উল্টো বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করছে, টাকা কামাচ্ছে। দুর্নীতি, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান, অর্থপাচার, লুটপাট ও সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।”

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কিছু টাকা ফেরত এনেছে যা খালেদা জিয়ার দুই ছেলে চুরি করে বিদেশে পাচার করেছিল এবং অবশিষ্ট টাকাও জব্দ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন না কোথা থেকে তারা অর্থ পাচ্ছেন যা ব্যবহার করে আবার পুলিশের গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে তারা ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবার বাড়াবাড়ি করলে দেশের মানুষ তাদের রেহাই দেবে না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত চক্র ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ৫০০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিবাদের মুখে তারা অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।”

  সরকারপ্রধান বলেন, “এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে, তার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং তারেকের স্ত্রী দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।”

দণ্ডপ্রাপ্তরা বিএনপি’র শীর্ষ নেতা এবং তাদের সামনে রেখে রাজনীতি করছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণ তাদের ভোট দেবে না। জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য ভোট দেবে না। জনগণ অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় আনবে না।”

সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক সময় বাংলাদেশকে দরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এখন তার সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।”

এসময়  তিনি জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরির জন্য বিদেশে না যাওয়ার অনুরোধের পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। এটি চাকরি প্রার্থী ও সরকার উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. লুৎফর রহমান রূপকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল তানসেন। সূত্র : বাসস

Link copied!