ড. ইউনূসের পক্ষ নেওয়া কে এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ১২:১২ এএম

ড. ইউনূসের পক্ষ নেওয়া কে এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই করবেন না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া।

সোমবার সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এর পরই আলোচনায় আসেন এ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমরানের পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লায়। বাবা সুলতান আহম্মদ ভূঁইয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন। তার মা সুরাইয়া সুলতানা। বাবার চাকরির সুবাদে তারা পরবর্তীতে চট্টগ্রামে স্থায়ী হন। তার বাবা সুলতান আহম্মদ ভূঁইয়া ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ড. ইউনূস ওই সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। এমরান ১৯৯২-৯৩ সেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হন। তিনি আইন বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হঠাৎ কেন ইউনূসের পক্ষে অবস্থান?

অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়ার ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, তার ফেসবুকের কভারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। ফেসবুক ব্যবহার শুরুর পর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ-সরকারের উন্নয়নের কথাই তুলে ধরেছেন। কিন্তু হঠাৎ নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। তার অবস্থান পরিবর্তনে হতবাক অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সহকর্মীরা।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের তার কয়েকজন সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমরান বিচারপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তদবির করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হয়েছিলেন। কিন্তু পর পর দুই নিয়োগে তিনি বিচারপতি হতে পারেননি। এতে তার মনে ক্ষোভ জন্মেছে। আবার কেউ বলছেন, এমরানের আত্মীয়স্বজনদের অনেকেই আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকান ভিসা নিশ্চিত করতেই তিনি ড. ইউনূসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এর আগে গণমাধ্যমকর্মীদের এমরান বলেন, ইসরাইলের অ্যাটর্নি জেনারেল সে দেশে যে আইন সংস্কার হচ্ছে; বিচার সম্পর্কিত, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, এটা আমার নিজস্ব চিন্তা। 
ড. ইউনূসের পক্ষে যে বিবৃতি দিয়েছেন ১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত।

তিনি বলেন, আমি মনে করি— অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি বলে মনে করেন এমরান ভূঁইয়া। 

Link copied!