বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে আইনের খসড়া তৈরি: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৫, ২০২৩, ১০:০৪ পিএম

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে আইনের খসড়া তৈরি: আইনমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। হবে।এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  তিনি এসব কথা বলেন।

আখাউড়া উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙালি ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে আইনটি পাস করা হবে।”

আমাদের দেশকে বিনাশ করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে  হত্যা করা হয়েছিল উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, “ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য যে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি।” বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বলেও তিনি জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারী-খুনিরা জানত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “যারা বাংলাদেশকে চায়নি, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদের আমরা জীবিত পেতাম না।”

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, “খুনিদের একজন যক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায় অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে আছে, তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারী কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয়া হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা না যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, “যড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই।  বিএনপি-জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে। তারা মিথ্যা বলে। সত্যের কাছ দিয়েও তারা হাঁটে না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী যে তারা নিজেরা খুন করে অন্যের ওপর দায় চাপায়। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।”

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল ও এ কে এম আতাউর রহমান নাজিম, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!