একতরফা নির্বাচনে তামাশার উৎসব করছে সরকার : লেবার পার্টির চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম

একতরফা নির্বাচনে তামাশার উৎসব করছে সরকার : লেবার পার্টির চেয়ারম্যান

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচনে তামাশার উৎসব করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, বিএনপির অফিসে তালা ঝুলিয়ে ও নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে সরকার নির্বাচনের নামে তামাশার আয়োজন করছে। দেশের প্রধানতম দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর লক্ষাধিক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় নেতাকর্মীদের নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে প্রতিহিংসার দাবানল জ্বালিয়ে দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের অধিকাংশ জেলে অথবা গ্রেফতারের ভয়ে বনে জঙ্গলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হরতাল কর্মসূচি সমর্থনে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. ইরান আরও বলেন, দেশে নির্বাচনের উৎসব নয়, গ্রেফতার নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী শক্তির নিশ্চিহ্ন করার মহোৎসব চলছে। বিএনপির কয়েকজন লোভী-বহিষ্কৃত নেতাদের দিয়ে নতুন নতুন দল তৈরি ও জেলখানায় হত্যা মামলার আসামী শাহজাহান ওমরকে ভাগিয়ে নৌকায় তুলে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে আইন আদালত বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। 

নির্বাচনের নামে তামাশার উৎসব বুমেরাং করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা যা চায় আদালত, নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেদারসে তাই করছে। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরুসহ অন্যরা সরকারের নির্বাচনে যেতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা ও হয়রানি করতেই কারাগারে রাখা হয়েছে। দেশপ্রেমিক জনগণ ও রাজনৈতিক শক্তিকে নির্বাচনের নামে তামাশার উৎসব বুমেরাং করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, নারীনেত্রী পারভিন আক্তার, মহানগর সদস্য মোঃ এনামুল হক আকন, রাসেল হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন প্রমুখ।

বিজয় নগর পানির ট্যাংকি হতে শুরু হয়ে মিছিলটি পুরানা পল্টন, পল্টন মোড়, তোপখানা রোড, সচিবালয়, প্রেসক্লাব হয়ে পুরানা পল্টন আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। 

Link copied!