বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন

গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তবে কোথায় নাশকতা হবে, তা নিশ্চিত ছিল না: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম

গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তবে কোথায় নাশকতা হবে, তা নিশ্চিত ছিল না: র‍্যাব

র‍্যাবের মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। সংগৃহীত ছবি

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ছিল।  নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু কোথায় হবে এটা বলা কঠিন।

সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুর কলেজে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন র‍্যাবের মহাপরিচালক। পরে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বিষয়ে জানাতে কলেজ মাঠে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গতকাল ট্রেনে বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার থেকে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে আপনি মনে করেন যে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন?

জবাবে র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে এ ধরনের নাশকতা হতে পারে। কিন্তু কোথায় নাশকতা ঘটানো হবে, তা নিশ্চিত করে জানা কঠিন ছিল। নাশকতার জন্য বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করলেও মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল রাতে ট্রেনে কারা আগুন লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল (শুক্রবার) তিনজনকে আটক করেছি। তাদের কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে ২৮টি, ককটেল পাওয়া গেছে ৩০টি। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এমন কোনো হুমকি তৈরি হয়নি, এমন কোনো আশঙ্কা নেই যে মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবে না। শুধু র‍্যাব ফোর্সেস না, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চমৎকার, স্বাভাবিক। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারবেন বলে আমি মনে করি।’

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা নির্বাচন উপলক্ষ্যে তিনটি ফেজে কাজ করছি। নির্বাচন পূর্ববর্তী অবস্থা আজ থেকে শেষ। আগামীকাল হবে নির্বাচন। এই নির্বাচনে যারা ভোট দিতে আসবেন, আমাদের কাজ তাদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করা। ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করা। যারা নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্ট এবং ভোটকেন্দ্রে রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে যারা জয়ী হবেন বা পরাজিত হবেন তাদের মধ্যেও ঝামেলা হয়, সংঘর্ষ হয়। নির্বাচনের পরে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। সুতরাং ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

Link copied!