মৌলভীবাজারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

বাঁচানো গেল না পরিবারের শেষ প্রদীপ সোনিয়াকেও

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৭, ২০২৪, ১১:৪৪ এএম

বাঁচানো গেল না পরিবারের শেষ প্রদীপ সোনিয়াকেও

সোনিয়া সুলতানা। সংগৃহীত ছবি

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাবা-মা আর তিন ভাইবোনকে হারানো শিশু সোনিয়া সুলতানাও মারা গেল।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে সোনিয়াকে পাঠানো হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে নেওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। বুধবার ভোর ৫টার দিকে সেখানে সোনিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান জুড়ী থানার ওসি এস এম মাঈনুদ্দিন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, ‘গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। মরদেহ নিয়ে আমি বাড়ি ফিরছি।’

মৃতরা হলেন-ফয়জুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), তাদের বড় মেয়ে সামিয়া (১৬), মেঝো মেয়ে সাবিনা (১৩) ও ছেলে সায়েম উদ্দিন (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফয়জুর রহমান পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন। ঘরের উপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন গেছে। সেহরির আগে ও পরে ঝড়বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য ফয়জুরের ছোট মেয়ে সোনিয়াও আজ মারা গেল।  

Link copied!