খালেদা জিয়ার সাথে ভয়ংকর তামাশা হচ্ছে: বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২, ২০২৩, ১২:২৬ এএম

খালেদা জিয়ার সাথে ভয়ংকর তামাশা হচ্ছে: বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক

অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।: কায়সার কামাল। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হলে আগে কারাগারে যেতে হবে এবং তারপর আদালতে আবেদন করতে হবে আইন মন্ত্রণালয়ের এই মতামত খালেদা জিয়ার সাথে ভয়ংকর তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রবিবার (১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আজকের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার চাইলেই নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিতে পারে।

তিনি বলেন, অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর নজির আছে। সরকারের সিদ্ধান্ত জাতির প্রতি একটি নিকৃষ্টতম প্রতারণা।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক বলেন, আইনমন্ত্রী পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন– যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, তাহলে বিবেচনা করা হবে। তার এই পাবলিক স্টেটমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার ভাই গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল আমরা আজকের এ সিদ্ধান্তের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি।

রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী জানায়, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটা খোলার আর কোনো সুযোগ নেই। আইনের ৪০১ ধারার কোনো দরখাস্ত যদি এক বার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না। ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ব্যাখ্যা করে আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমরা মতামত দিয়েছি, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশন, এটা খোলার আর কোনো উপায় নেই।

Link copied!