যাত্রা শুরু হচ্ছে ঢাকা উড়ালসড়কের; কীভাবে করবেন এর ব্যবহার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ০৬:২৩ এএম

যাত্রা শুরু হচ্ছে ঢাকা উড়ালসড়কের; কীভাবে করবেন এর ব্যবহার

সংগৃহীত ছবি

শনিবার ঢাকা উড়ালসড়কের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে চলাচল উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রবিবার এই উড়ালসড়ক ব্যবহারের সুযোগ মিলবে নাগরিকদের। যানজটের এই রাজধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে আসবে স্বস্তি।

পুরান ঢাকা- শাহবাগ- ধানমন্ডি- মোহাম্মদপুর- ফার্মগেট এলাকাগুলো থেকে এই উড়ালসড়ক ব্যবহার করতে চাইলে বিজয় সরণি ওভারপাস বা তেজগাঁও এলাকায় যেতে হবে। বিজয় সরণিতে যে ওভারপাস তৈরি হয়েছে সেখানে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই উড়ালসড়কের সাথে সংযোগ রয়েছে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে উঠতে আরেকটি সংযোগ রয়েছে।

রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়ালসড়কে ওঠার এই পথটিই সহজ। তবে যাঁরা বনানী যেতে পারবেন, তাঁরা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে পারবেন।

উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের ইন্দিরা রোডে নামাই সুবিধাজনক।

আরও কিছু পথ দিয়ে ঢাকা উড়ালসড়কে উঠতে-নামতে পারবেন- 

উত্তর অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান
১. বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন।
২. বনানী রেলস্টেশনের সামনে।

উত্তর অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান
১. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।
২. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক।
৩. কুড়িল বিশ্বরোড
৪. বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান
১. হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা।
২. প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব।

দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান
১. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ।
২. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।
৩. ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।

শুক্রবার সেতু বিভাগের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা উড়ালসড়কে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তাই মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে উড়ালসড়কে ওঠার চিন্তা করবেন না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পথচারীরা উড়ালসড়কে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না।

সেতু বিভাগ বলছে, মূল উড়ালসড়কে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠা-নামার স্থানে (র‍্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

এসব পথ ব্যবহার করে উড়ালসড়ক ব্যবহার করতে প্রতি গাড়িকেই দিতে হবে টোল- 

শ্রেণি-১: কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম)—টোল ৮০ টাকা।
শ্রেণি-২: মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত)—টোল ৩২০ টাকা।
শ্রেণি-৩: ট্রাক (৬ চাকার বেশি)—টোল ৪০০ টাকা।
শ্রেণি-৪: সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি)—টোল ১৬০ টাকা।

ঢাকা উড়ালসড়কের (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক।

Link copied!