পদ্মা সেতুতে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১, ২০২৩, ০৯:২২ এএম

পদ্মা সেতুতে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু আজ

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

যাত্রী নিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ (১ নভেম্বর)। এর আগে গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে রেলপথ নির্মাণে একটি প্রকল্পের কাজ এখনো চলছে। এই প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় খুলনা স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে আন্তনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি। রেলের তৈরি করা সময়সূচি অনুযায়ী, ভোর ৪টার পরপর ট্রেনটি পদ্মা সেতু অতিক্রম করবে। ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি আবার ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা করবে।বিকেল পৌনে ৪টার দিকে খুলনায় পৌঁছাবে। শুরুতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটিও চলাচল করবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা থেকে খুলনার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, ফরিদপুর শহর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ নয়টি স্টেশনে থামবে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি। বেনাপোল এক্সপ্রেসও একই পথ ধরে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত যাবে।

ট্রেনের টিকিটের সাতটি শ্রেণি আছে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনে (নন-এসি) ভাড়া দিতে হবে ২৩৫ টাকা। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত শোভন শ্রেণির ভাড়া ধরা হয়েছে ১৯৫ টাকা, প্রথম শ্রেণির আসন ৩১০, প্রথম শ্রেণির বার্থের ভাড়া ৩৬৫, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) আসনের ভাড়া ৪৬৫ এবং এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৬৯৫ টাকা।

শোভন চেয়ারে ঢাকা থেকে যশোরের ভাড়া ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে খুলনা পথে ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সরকার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। শুরুতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। বর্তমানে এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায়। চীনের অর্থায়নে দেশটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেলপথ নির্মাণের কাজটি করছে।

প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। এখন ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা এবং মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা নতুন করে রেল যোগাযোগের আওতায় এসেছে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নড়াইল জেলাও যুক্ত হবে।

প্রকল্পের সমীক্ষা অনুসারে, নতুন রেলপথ দিয়ে ২৪ জোড়া যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চালানো যাবে। প্রতিদিন ৪০ হাজার যাত্রী পারাপার করতে পারবে।

Link copied!