পাবনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ১, ২০২৩, ০৪:৩৮ পিএম

পাবনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১১

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন আহত হয়েছেন।

পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একপক্ষের ওপর আরেক পক্ষ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত নেতাকর্মী ও পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।

শনিবার রাত ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান তার সমর্থকদের নিয়ে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তারা মাসুম বাজারে পৌঁছামাত্র তাদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে সিফাত ও তার সমর্থকরা। এতে আটজন গুলিবিদ্ধ ও তিনজন ছুরিকাহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত সজিব নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়িয়েছে।’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মেহেদী হাসান লোকজন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে যাওয়ার সময় সিফাত গ্রুপের লোকজন গুলি করে। এতে আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

Link copied!