বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসানীতি এখনো বহাল আছে: যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৮:২১ পিএম

বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসানীতি এখনো বহাল আছে: যুক্তরাষ্ট্র

বেদান্ত প্যাটেল।

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতি এখনও বহাল আছে, এতে কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এক প্রশ্নে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি বলে উদ্বেগ আছে এবং এক্ষেত্রে যারা নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করেছেন তাদের জন্য থ্রিসি ভিসা নীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে প্যাটেল বলেন, ভিসা নীতির ক্ষেত্রে জানানোর মতো কোনো আপডেট আমার কাছে নেই। আমি যা বুঝি তা হলো, নির্বাচন শেষ হলেই এই নীতি শেষ হয়ে যায় না।

এই নীতি এখনও বহাল আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন ক্ষুণ্নে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঘোষিত মার্কিন ভিসানীতির বাস্তবায়ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান এক সাংবাদিক। ওই সাংবাদিক এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়নি বলে উদ্বেগ আছে।

জবাবে প্যাটেল বলেন, এই নীতির হালনাগাদ বা পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই। তাঁর জানামতে, শুধু নির্বাচন শেষ হওয়ার কারণে এই নীতি বদল হয়ে যায় না। তবে এ বিষয়ে কিছু বলার মতো হালনাগাদ তথ্য তাঁর কাছে নেই।

প্রশ্নকারী বলেন, এখনো কি এই নীতি বিদ্যমান আছে?

জবাবে প্যাটেল বলেন, হ্যাঁ। নীতিতে কোনো পরিবর্তন নেই।

ওই সাংবাদিক আরেক প্রশ্নে বলেন, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে সরকার। তাঁর বিদেশ ভ্রমণের ওপর আদালতের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করছে সরকার। ১২৫ নোবেলজয়ীসহ ২৪৩ বিশ্বনেতা অধ্যাপক ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটর সব হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়টিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কীভাবে দেখছে?

জবাবে প্যাটেল বলেন, দেখুন, এসব মামলা ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর উপায় হিসেবে বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের নমুনা হতে পারে বলে অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতো তাঁরাও উদ্বিগ্ন। মামলায় আপিল প্রক্রিয়া চলছে। এ অবস্থায় তাঁরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের বিষয়ে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করবেন।

Link copied!