বেটা
আগস্ট ১৭, ২০২৩, ১০:১৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে একটা ‘রহস্য’ দানা বেঁধেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুর কবির রিজভী। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দল তেমন কিছুই করতে পারেনি বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা জেলা শাখা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় জিনজিরা বিএনপির কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে রিজভী বলেন, “বিশিষ্ট ইসলামিক ভাষ্যকার ও চিন্তাবিদ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়েও একটা রহস্য দানা বেঁধেছে। কেন ১৫ আগস্টের প্রাক্কালে তিনি মারা গেলেন হার্ট অ্যাটাকে? এটা নিয়ে অনেকেই বলছেন একটা সন্দেহ তো দানা বাঁধেই। দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী সাহেব হঠাৎ করে সুস্থ মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেলেন।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তিরা যে ডাক্তাররা তার ফাঁসির জন্য স্লোগান দিয়েছেন, তাদেরই নিয়োজিত রাখা হয়েছিল তার চিকিৎসার জন্য। এটা কি সন্দেহ করার কারণ হতে পারে না?”
বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আমরা বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের আরও করতে হবে। আজ জীবন যন্ত্রণায় ভুগছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।”
আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানের চেষ্টা করা হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, “আপনাকে ক্ষমতায় আনা ও রাখার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। আপনি তো জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তারা যাতে সুষ্ঠু ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পারে।”
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জনগণ সন্দিহান উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “আমরা দেখলাম বেগম জিয়াকে যখন কারাগারে নেওয়া হয়, তখন তিনি কতটা স্বাভাবিক ছিলেন। কিন্তু তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ কেন? সরকার কারগারের মধ্যে তার খাবারের মধ্যে কোনও কিছু মিশিয়েছেন কি না, এটা নিয়ে জনগণ আজকে সন্দিহান।”
ঢাকা জেলা শাখা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সরকারি অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমুদ্দিন মাস্টার, আমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
