বেটা
সংগৃহীত ছবি
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ঘাটলাবাগ এলাকার বারাই বাড়ির নুর আলমের ছেলে আরমান হোসেনকে ভালোবেসে বাংলাদেশে এসে তার সাথে ঘর বাঁধলেন লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর তরুণী আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো (৩৩)। আরমান হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত।
২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে পরিচয় হয় আরমান-আনার। সেখান থেকেই ভালোবাসার সম্পর্ক। ছয় বছরের ভালোবাসার সম্পর্কের পরিণতি দিলেন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। আনা গত ২ জুলাই বাংলাদেশে আসেন।
সেদিনই বিয়ে করেন তারা। ঢাকায় কিছু দিন কাটিয়ে ৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) চাটখিলে পরিবারের কাছে আনাকে নিয়ে যান আরমান। বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন তারা। ভিনদেশি নববধূকে দেখতে আশপাশের মানুষ ভিড় জমিয়েছেন আরমানের বাড়িতে।
আরমান হোসেন বলেন, মোবাইলে পরিচয় এবং এতেই বন্ধুত্ব। ছয় বছর আমাদের মোবাইলেই কথা হয়েছে। তাকে কখনও সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। আমরা দুজনে মিলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ এলে বিয়ে করি। আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
আনা জানান, আমি নিজ ইচ্ছায় আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতেই আরমানের কাছে ছুটে এসেছি। আমরা যেন সুখী হতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
এর আগে গত ২৪ জুন মালয়েশিয়ান তরুণী স্মৃতি আয়শা বিন রামাসামি (২২) নোয়াখালীর ফরহাদ হোসেনের কাছে ভালোবাসার টানে ছুটে আসেন। ২৫ জুন বিয়ে হয় তাদের। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিজ পরিবারের সাথে বাস করছেন তারা।
